রবিবার, জুন ২২, ২০২৫
মাদরাসাতুল বাশার আল ইসলামিয়ামাদরাসাতুল বাশার আল ইসলামিয়া
সাম্প্রতিক পোস্ট
পরিচালক

মাওলানা আরিফ বিন বাশার ( পরিচালক )

  • যোগদান:মার্চ ১৯, ২০১৮
  • রক্তের গ্রুপ:A+
  • যোগ্যতা:Qualification
  • ফোন নম্বর: ০১৭৬৫-৮৬২৯৭৮
  • ইমেইল:principle@institute.com
  • ঠিকানা:Sadar Road, Bhola - 8300
  • মুহতামিম সাহেবের বাণী

    ইসলাম ছাড়া জাতির মুক্তির বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। যেখানেই ইসলামের অনুপস্থিতি সেখানেই অজ্ঞতা, মূর্খতা, জুলুম ও নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে। পক্ষান্তরে যেখানে ইসলামের উপস্থিতি ঘটেছে সেখানে জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, পারিবারিক সম্প্রীতি, সামাজিক বন্ধন এবং রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার অপরূপ সৌন্দর্যের এক বিচিত্র দৃশ্য অবলোকন করা গেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে ইসলামকে ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করার কারণে। ফলে ইসলামের এই সৌন্দর্য গোটা বিশ্ববাসীর সামনে এমনভাবে চিত্রায়িত হয়েছে; যা দেখে স্বয়ং অমুসলিমরাও ‘থ’ বনে গিয়েছে। আর এ জন্যেই ইসলামের এই অপরূপ সভ্যতার প্রতি মুগ্ধ হয়ে ইউরোপ-আমেরিকা পর্যন্ত বাধ্য হয়েছে তার স্বীকৃতি দিতে।

    সুদীর্ঘ একটা সময় পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে ইসলাম সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকলেও কালের আবর্তনে তা হারিয়ে যায়। অপরদিকে ইউরোপ-আমেরিকা তখন ইসলামের সভ্যতাকে একপ্রকার চুরি করে নিজেরা উন্নতি-অগ্রগতির উঁচু শিখরে উঠতে থাকে। সময়ের ব্যবধানে আজ তারা মুসলিমদের চেয়ে অগ্রগামী। দিন-দিন নিত্যনতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে মুসলিমদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। যেন বলছে, আগামীর পৃথিবীতে তোমাদের কোনো ঠায় নেই।

    মুসলিমদের এই সামগ্রীক অধঃপতনের জন্য একদিকে আমাদের ইমান-আমলের প্রতি অনিহা যেমন দায়ী অপরদিকে যুগে যুগে মুসলিম নেতৃবৃন্দের ভোগ-বিলাস ও দুনিয়াপ্রীতির যে নির্লজ্জ চিত্র আমরা দেখি, তাতে ইসলামী সভ্যতার এই করুণ পরিণতির জন্য তারা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।

    ভারত উপ-মহাদেশে বৃটিশরা শাসনের নামে একদিকে যেমন ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল অন্যদিকে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থাকে নির্মূল করার জন্য হাজার হাজার মাদরাসাকে ধ্বংশ করে দিয়েছিল। শুধু কি তাই, ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী এমন সহস্র মুসলিমকে জীবন্ত হত্যা পর্যন্ত করেছিল। কিন্তু ইস্পাত পাথর উলামায়ে কেরামের ঐশী কৌশলের কাছে তারা হার মেনেছে। অসহনীয় জুলম-নির্যাতনের পরেও তারা মুসলিমদের দমাতে পারেনি। ইসলামী বিধানাবলি পালনের উপর করারোপ করেও থামাতে পারেনি। অবশেষে উলামায়ে কেরাম নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এবং প্রত্যক্ষভাবে ইলম প্রচারের কেন্দ্র হলেও পরোক্ষভাবে একদল জানবাজ মর্দে মুজাহিদ তৈরির মানসে প্রতিষ্ঠা করেন ‘দারুল উলুম দেওবন্দ।’ যেখান থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়ে একজন আলেম হয়ে উঠবেন যুগের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব এবং যুগে যুগে ইসলামের উপর ধেয়ে আসা অপশক্তির মোকাবেলায় আপোষহীন অগ্রসেনানী। সেই ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’-এর চিন্তা-চেতনা ও মাসলাক-মাশরাবকে ধারণ করেই বিশ্বের নানান প্রান্তে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নামে মিনি ‘দারুল উলুম দেওবন্দ।’ যাদের মধ্যকার স্থানের দূরত্ব হলেও চিন্তার বৈপরিত্ব নেই। অভিন্ন চিন্তা লালন করেই এগিয়ে যাচ্ছে দেওবন্দি কাফেলা। আমাদের প্রতিষ্ঠান তারই একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।

    নানান জটিলতা, সংকীর্ণতা ও দুর্বলতাকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলছে প্রাণের এই প্রতিষ্ঠান। আমি আমার সকল শুভাকাঙ্খী, প্রিয়জন ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে ‘মাদরাসাতুল বাশার আল ইসলামিয়া’র প্রতি বিশেষ নজর রাখার উদাত্ত আহবান রাখছি।

    মাওলানা আরিফ বিন বাশার
    পরিচালক, মাদরাসাতুল বাশার আল ইসলামিয়া

    হোয়াটসাঅ্যাপ চ্যাট
    মেসেঞ্জার চ্যাট